মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ সাময়িক বরখাস্ত
আব্দুল কাদের মজনু ষ্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ একেএম নুরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না তা আগামি পনের দিনের মধ্যে তাঁকে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত গভর্নিং বডির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া কলেজের উপাধ্যক্ষ রুহুল আমিনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গভর্নিং বডির ওই সভায়।
প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মজিবর রহমান মজনু এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সম্প্রতি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। সেসব অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই প্রতিবেদনে কলেজের অধ্যক্ষের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাত ও ক্ষমতার অব্যবহারের বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় গভর্নিং বডির সভায় তার বিরুদ্ধে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কলেজ গভর্নিং বডির অন্যতম সদস্য এ্যাড: গোলাম ফারুক বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম বিভিন্ন খাত থেকে রশিদমূলে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫৩৭ টাকা আদায় করেন। কিন্তু সেই টাকা কলেজের ব্যাংক হিসেবে জমা না করে নিজের কাছে রেখে দেন। এছাড়া কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রদর্শক সিরাজুল ইসলাম মাদকদ্রব্যসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। পরে মামলা দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এরপর ওই প্রদর্শক সিরাজুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে মামলা থেকে খালাস পান তিনি। কিন্তু সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া সত্তে¡ও অধ্যক্ষ তার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকেই বিধি বহির্ভূতভাবে তাকে বেতনভাতা প্রদান করেন। এমনকি গভর্নিং বডির সদস্যদের অসম্মান, অবজ্ঞা ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। সেইসঙ্গে কলেজের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও বিভিন্ন নথি বাড়িতে আটকে রেখেছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যহৃত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের এসাইমেন্টের খাতা নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ না করে গোপনে বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলে বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সম্পুর্ণ অন্যায় ও বিধিবর্হিভূতভাবে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে কলেজের ফান্ডে বিপুল পরিমান টাকা জমা রয়েছে। সেসব টাকা হরিলুট করতেই নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।