সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের একজন আদর্শ গো খামারী আলম।
আব্দুল মজিদ (কাজিপুর থেকে)
গত শুক্রবারের রাতে আগুনে পুড়ে গেছে তার খামার এবং বসতঘর। ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা, সোনার গহনা আসবাবপত্র সব পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিঃস্ব গো-খামারী সরকারি, বেসরকারি ও বিত্তবানদের সহায়তায় আবারও ঘুরে দাঁড়াতে চান। মানবিক সহায়তা চেয়ে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে তাঁর প্রতিবেশির বাড়িতে সাংবাদিকদের নিকট তিনি তার করুণ অবস্থার বর্ণনা দেন। এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কাজিপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের আমি একজন তালিকাভুক্ত গো-খামারী। পাশাপাশি ছাগলও পালন করতাম। গত ছয়মাস আগে আমার ছয়টি বিদেশি জাতের গাভি অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুইটি বাঁচাতে পারলেও চারটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ওই সময় কয়েকটি ছাগলও অজানা রোগে মারা যায়। সে সময় অন্তত ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এই অবস্থার উন্নতি ঘটার আগেই গত ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে টিন শেড থাকার ঘর ও গোয়ালঘর আগুনে পুড়ে যায়। ঘরে গচ্ছিত নগদ পাঁচ লাখ টাকা ছিল তাও পুড়ে গেছে। স্ত্রীর এক ভরি গহনাও পুড়ে শেষ। সব হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব আলম এখন স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে থাকছেন প্রতিবেশিদের ঘরে। নিজের ঘরটি যে সারাই করবেন সেই সামর্থও তার নেই বলে তিনি জানান। একারণেই তিনি আবারো ঘরে দাঁড়াতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এসময় আলমের প্রতিবেশি শ্যামপুর গ্রামের বাবলু মিয়া বলেন, গ্রামের শালিসী বৈঠকের তিন লাখ টাকা আলমের কাছে রাখা ছিল। আগুন লেগে তা পুড়ে গেছে। ঘর থেকে কিছুিই বেরা করা যায়নি। গ্রামের মাতব্বর রফিকুল ইসলাম বলেন, আলম একজন পরিশ্রমী ছেলে, সফল খামারী। সরকার ও বিত্তবানরা সহযোগিতা করলে হয়তো সে আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারতো।
এ বিষয়ে সাংবাদিকগণ কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম আরিফুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, আগুন লাগার খবর পেয়েই আমি তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়েছি। কিছু খাবারও দেয়া হয়েছে। তাকে অফিসে দেখা করতে বলেছি।