শিবগঞ্জে দুর্নীতির শীর্ষে চেয়ারম্যান রুপম
আজাদুর রহমানঃ দুর্নীতির অন্তরায় বগুড়ার শিবগঞ্জ ১নং ময়দানহাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম রুপম। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে চলতি বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত ঘর ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। কিন্তু শিবগঞ্জের ময়দানহাটা ইউনিয়নে পানিতলা নামক স্থানে আদর্শগ্রামে প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা জানা গেছে।
ইউনিয়নের পলাশী গ্রামের শহিদুলের ছেলে শিমুল জানান, টাকার জন্য আমার বাবাকে বারবার চাপ প্রয়োগ করলেও টাকা দিতে না পারায় দলিল পাইনি। চড়া মূল্যে ঘরটা অন্যের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।
কানছে নামের ব্যক্তি জানান, কিছু খরচ না দিলে ঘর দেওয়া যাবে না এমন প্রস্তাবে সে ঘর নেয়নি।
জিলহজের ছেলে তুহিন বলেন, আমার শ্বশুর ভাড়া বাড়িতে থাকেন একটি ঘরের মৌখিক আবেদন করলে ২০ হাজার টাকা দাবি করে, ২ দিনের মধ্যে ঘর পাবার আশায় সুদের টাকা নিয়ে ১২ হাজার টাকা প্রদান করি কিন্তু আজও ঘর মেলেনি।
মুকুল নামের এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভিক্ষাবৃত্তি করেন, সে ঘর পাবার আশায় থাকলেও তার আশা এখন নিরাশার পথে। মোটা অংকের টাকা না দিলে ঘর পাবার আশা সম্ভব নয়।
তমিজ উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ের জন্য একটি ঘর নেব কিন্তু ২০ হাজার টাকা দাবি করে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি বাকি টাকা না দিলে ঘর দেবেনা। নুর ইসলাম বলেন, সরকারি বরাদ্দ থাকলেও ১৫শ টাকা বিদ্যুতের জন্য দিতে হয়েছে।
আনিসুর রহমানের স্ত্রী জানান, সর্বমোট ২৫শ টাকা দিয়েছি বিদ্যুৎ ও নলকূপের জন্য কিন্তু এখনো ঘরের দলিল পাইনি টাকা না দিলে দলিল দেবে না। উপরের সকল অভিযোগ একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যিনি হাটকড়ি গ্রামের গফুর মিয়া। আর এই গফুর মিয়া কে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করছেন ময়দানহাটা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম রুপম।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ চেয়ারম্যান নিজেই টাকা সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়েছেন গফুর মিয়াকে। কিন্তু গফুর মিয়া ক্যামেরা দেখে সটকে পড়েন। গফুর মিয়ার স্ত্রীর আফিয়া বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তার স্বামী বাড়িতে নেই কখন আসবে তিনি জানেন না। তবে গফুর মিয়া দুইটি বাড়ি দখল নিয়েছেন এটা তার স্ত্রী স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এস এম রুপমকে একাধিকবার ফোন করার পর তিনি ঘরের কথা শোনা মাত্রই অকথ্য ভাষায় উত্তেজিত কথাবার্তা বলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কান্দিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, এখানে কিছু দলিল বহির্ভূত ব্যক্তি আছে, যা নিয়ম বহির্ভূত সে বিষয়টি সত্যিই লজ্জাজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম শম্পা বাংলার বিজয় ডট কমকে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব এবং লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উল্লেখ্যঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অসহায় হতদরিদ্রদের চাল চুরি করে সাময়িক বরখাস্ত হন চেয়ারম্যান রুপম। এবং তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে প্রত্যাশা প্রতিদিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি শাহজাহানকে মারপিট করে ও ইউপি সদস্য শাহানাকে মারপিট করে আলোচনায় আসেন।