দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যস্ত প্রতিমা তৈরির কারিগর
আব্দুল মজিদ ( কাজিপুর থেকে) আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় প্রতিমা তৈরির কারিগরেরা। খড়, কাঠ, সুতা আর মাটি দিয়ে নিপুণ হাতে তৈরি করছেন দুর্গাসহ নানা প্রতিমা। পূজা সময় যতই ঘনিয়ে আসছে শিল্পীদের ব্যস্ততা ততটাই বাড়ছে। তবে প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়লেও বাড়েনি প্রতিমার দাম।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, তাদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আগামি পহেলা অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সে হিসেবে ৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবাবের দুর্গোৎসব। এবছর দেবী দুর্গা আসছেন গজে (হাতি) চড়ে যাবেন নৌকায় চড়ে। দেবীর আগমনে বিশ্ব হবে শান্তিময়, অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে উদয় হবে শুভ শক্তির এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
উপজেলার সোনামুখী, মেঘাই ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা তৈরিতে চলছে মহাকর্মযজ্ঞ। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই প্রতিমা তৈরির শিল্পীদের। পুরুষদের পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির কাজে সহায়তা করছে বাড়ীর নারী শিল্পীরাও। কেউ কেউ খড়, কাঠ, সুতা দিয়ে প্রতিমার কাঠামো তৈরি করছেন কেউবা নিপুণ হাতে ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমা। প্রতিমার কাঠামো তৈরি শেষে এখন চলছে প্রতিমা তৈরির মূল কাজ। দুই এক দিনের মধ্যেই শুরু হবে প্রতিমায় রঙের কাজ।
সোনামুখী বাজারে প্রতিমা তৈরির কারিগর শ্রীকান্ত পাল ও দিলীপ পাল জানান, কালের বিবর্তনে আগের মত আর মাটির জিনিসপত্র ব্যবহার হয় না। তাই আমাদের সারা বছর অনেকটা অবসর সময় কাটাতে হয়। দুর্গাপূজার আগে প্রতিমা তৈরি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে কোন মতে সারা বছর সংসার চালাই। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে প্রতিমা তৈরিতে যেসব উপকরণ লাগে সব উপকরণের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। কিন্ত ক্রেতারা প্রতিমার দাম বাড়াচ্ছে না। এতে আমাদের যে টাকা আয় হওয়ার কথা তা আর হচ্ছে না। প্রতিটি প্রতিমা ৩০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাজিপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার জানান, এ বছর উপজেলার ২০টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর করতে পূজা মণ্ডপগুলোতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।