গ্রামের শিশু কিশোর র্স্মাট ফোনের জন্য নষ্টের পথে
মোঃ জান্নাতুল নাঈম বগুড়া শিবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সারা দেশের ন্যায় প্রায় ৬৪ জেলায় এখন ১২-১৪ বছরের উদ্ধে শিশু কিশোরদের হাতে র্স্মাট ফোন বা এনড্রোয়েড ফোন। যা দ্বারা অনলাইন মারত্নক গেম খেলা ফ্রি ফায়ার সহ, অশ্নীলিন ভিডিও দেখা, বা টিক টক সহ পর্ণগ্রাফি সহ অনান্য কাজ কর্মের সাথে যুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে ছোট বড় সবার হাতে এখন স্মার্ট ফোন। যা দিয়ে অনেক এ ভালো কাজ কররছে, আবার অনেক খারাপ কাজের সাথে লিপ্ত হচ্ছে। পরিবারের লোক জন তাদের তদারকি করছে না যে তাদের সন্তানরা ফোন নিয়ে কি কররছে না করছে। প্রায় এখন সব গ্রাম অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে, অনলাইন গ্রেম খেলা হচ্ছে ফ্রি ফায়ার। ফ্রি ফায়ার খেলে নষ্ট করছে তাদের মূল্যবান সময়। বর্তমানে মহামারি করোনার প্রভাব বৃদ্ধির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অনলাইন ক্লাস বা এ্যাসাইন্টমেন্ট দিয়ে হচ্ছে হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কিন্তু শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস না করে, ফ্রি ফায়ার খেলা নিয়ে ব্যস্ত। আবার কেউ কেউ মোবাইল লুডু খেলা নিয়ে ব্যস্ত। তবে শুধু লডু খেলায় নয়,তারা সন্ধাবেলা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দেখা যায় কোন চা স্টলে বসে, বা যে কোন নির্জন স্থানে বসে, তারা লুডু খেলে টাকা দিয়ে। লডু খেলতে প্রয়য়োজন ৪জন, ১জন প্রতি সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকাকা করে নিধারণ করে, তাহলে দেখা যায় ২০০০ টাকা হয় ৪। জনে। যে দুইজন ব্যক্তি জয় লাভ করবে, তারা ১০০০ টাকা পাবে। লুডু খেলতে সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট বা ৪৫ মিনিট। এই লুডু খেলা এখন সবত্রই পৌঁছে গেছে। এটা এখন মারাত্মক জুয়া খেলাই লিপ্ত হয়েছে। যা ছোট ছোট শিশুদের ওপর প্রভাব পরছে। যাতে করে খুব দ্রুত আমাদের যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরিবার সহ সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে দৃষ্টি আর্কষণ করবো যেন সব জাগায় সচেতন করার জন্য উদ্দ্যোগ নেয়া হয়। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করবো, আপনারা খুব দ্রুত একটা ব্যবস্তা করুন যাতে যুব সমাজ শিশু কিশোর ধংসের হাত থেকে রক্ষা হয়। র্স্মাট ফোন দিয়ে যে সব খেলা জুয়া খেলায় পরিনত হয় সেই সব খেলা খুব দ্রুত বাংলাদেশ সার্ভার থেকে বাদ দেয়া হোক। লেখা পড়ার পাশি পাশি খেলা ধুলা করারা ভালো, তবে শরীর এবং ভালো থাকে সেই সব খেলা খেলতে হবে। সেই সব খেলা পারিহার করতে হবে যে সব খেলা যুব সমাজকে ধংসের পথে নিয়ে যায়। অনেক পরিবারের বাবা মা তাদের সন্তানকে অনেক সন্তানদের খেয়াল রাখে, তবে যারা খেয়াল রাখেন না,তাদের বলছি সন্তানদের যত্ন নেন। তাদের ভবিষ্যৎত আপনার হাতে। তাই আসুন নিজে সচেতন হয় অন্যদেরকে সচেতন করি। তাহলে সমাজ ও দেশ খুব দ্রুত পরিবর্তন হবে। এই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রনিধির সাথে কথা বললে, সেকেন্দ্রাবাদ ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ মোহাসিন আলী তিনি বলেন,বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে করোনা মহামারি আকার ধারন করায় শিক্ষা মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য তিনি সিদ্ধান্ত নেন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেন। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ পেয়ে তারা মোবাইল ফোন গেমস এর দিকে ঝুকে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা নিজ নিজ দায়িত্বে সচেতন হতে বলতেছি, এবং সেই সাথে পরিবারের মা,বাবাদের সচেতন হতে হবে। সেই সাথে সাবেক মেম্বার আলী আসান এর সাথে কথা বললে, তিনি এই কথায় সম্মতি প্রকাশ করেন।।। তিনি বলেন সমাজের সকল গন্য মান্য ব্যক্তিদের কে এই সব বিষয়ে নজরদারি দিতে হবে। এই বিষয়ে এলাকার স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাথে কথা বললে, তারা জানাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার জন্য, শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোযোগ উঠে গেছে, তাই তারা মোবাইল গেমস খেলা এবং মোবাইল এর প্রতি আকৃষ্ট হয়ছে। তবে আমরা মনে করি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক ভাবে চললে, শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোযোগ হবে, এবং পড়ার চাপ থাকলে তারা, ফোন, সহ যে কোন খেলাধুলা থেকে দূরে থাকবে আশা করি।